এআই ভিত্তিক জিপিটি প্লাটফর্ম “জি ব্রেইন” এর উদ্বোধন

জি-ব্রেইন, বাংলাদেশের নতুন এআই প্ল্যাটফর্ম, সংবিধান, বাজেট এবং স্টার্টআপ ডোমেনের উপর ফোকাস করে। একটি স্মার্ট ভবিষ্যতের জন্য এই উদ্যোগটি কীভাবে AI ব্যবহার করে তা জানুন।

বাংলাদেশ জি-ব্রেইন উন্মোচন করেছে: একটি সহযোগিতামূলক এআই লিপ
জি-ব্রেইন, বাংলাদেশের এআই প্ল্যাটফর্ম, শিক্ষা, ডেটা নিরাপত্তা এবং দক্ষ এআই কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই যুগান্তকারী প্লাটফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ।


জাতীয়ভাবে তৈরীকৃত এআই ভিত্তিক জিপিটি প্লাটফর্ম ‘ জি ব্রেইন (Gbrain)’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের সংবিধান, বাজেট এবং স্টার্টআপ এ তিনটি জিপিটি নিয়ে নিজস্ব টুলসেটের উপর জাতীয়ভাবে এ প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।

দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অরিয়ন ইনফরমেটিকস এর সার্বিক সহযোগিতায়ে এই জি ব্রেইন এর অগ্রযাত্রা।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (4IR) জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এটি। দেশীয় টুলসেট ব্যবহার করে বিকশিত এই প্ল্যাটফর্মটি স্টার্টআপ ফোকাস করে তিনটি প্রাথমিক জিপিটি (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেনড ট্রান্সফরমার) নিয়ে কাজ করেছে।

বুধবার (৩ জুলাই ২০২৪ খ্রি:) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে উক্ত প্লাটফর্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। 

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক 4IR চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং বৈশ্বিক অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা তৈরির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের সক্ষমতা তৈরীর মাধ্যমে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে আমাদের জয় করতে হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স ও মেশিন লানিং এর মতো প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ স্মাট ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলা হবে। এজন্যই আমরা আজ এআই নির্ভর জিপিটি প্লাটফর্ম ‘জি ব্রেইন’ (www.gbrainbd.ai) উদ্বোধন করলাম। ভবিষ্যতে এটা মাইগ্রেট করে আমাদের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা হবে এবং নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে এটাকে ব্যবহার বান্ধব করা হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা পাবলিক প্রাইভেট একাডেমিয়া পার্টনাশীপের ভিত্তিতে এই কাজটা করেছি। তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এআই এর ইতিবাচক প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারের সকল লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, নিম্ম মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত এআই‘কে পাঠবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি এআই ঝুঁকি মোকাবেলায় আইন মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় এআই আইনও প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

G-Brain, বর্তমানে www.gbrainbd.ai-তে অ্যাক্সেসযোগ্য, ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে স্থানান্তরিত হবে এবং ব্যবহারকারী-বন্ধুত্ব বাড়ানোর জন্য নিয়মিত আপডেটের মধ্য দিয়ে যাবে। পাবলিক-প্রাইভেট-একাডেমিয়া পার্টনারশিপের মাধ্যমে অর্জিত এই সহযোগিতামূলক প্রকল্পটি প্রযুক্তি কোম্পানি ওরিয়ন ইনফরমেটিক্সের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাকে তুলে ধরে।

মূল প্রবন্ধে আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসাবে ডেটা হাইলাইট করে,  বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার জীবনের বিভিন্ন দিক পরিবর্তন করার জন্য জি-ব্রেইনের সম্ভাবনার উপর জোর দেন।

আজহার বলেন, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে ডাটা বা তথ্য উপাত্ত। সেই ডাটা ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ এআই সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে প্রযুক্তির প্রভাব ও প্রসারের চিত্র বদলে দিয়েছে। বর্তমানে যে দেশ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট যত সমৃদ্ধ ডাটা ও প্রযুক্তি আছে, সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া জিপিটি প্লাটফর্ম জি ব্রেইন কিভাবে আমাদের জীবনে উপকারে আসতে পারে তার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত তিনি অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো সামসুল আরেফিন ও ওরিয়ন ইনফরমেটিকস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ছাড়াও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form