ক্রিস আর স্মিথ এ বার মিটমাট করে নিক। যাঁকে নিয়ে এত ঘটনা, সেই জাডা স্মিথ এবার মুখ খুললেন। তার মত, এই তিক্ততা বেশিদিন পুষে রাখা ঠিক হবে না।
হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথের চড়-কাণ্ডে এই প্রথম কথা বললেন স্ত্রী জাডা পিঙ্কেট স্মিথ। বুধবার, জাডা-র সঞ্চালনায় ‘রেড টেবিল টক’ অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্ব ছিল অ্যালোপেশিয়া নিয়ে। যে রোগে দীর্ঘকাল ভুগছেন অভিনেত্রী-সহ আরও অনেকেই। এই রোগ হলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। রোগীদের কারো কারো মাথায় একটি চুলও আর অবশিষ্ট থাকে না।
এক অনুষ্ঠানে উঠে এসেছিল জাডার কেশহীনতার কথা। এটি একজন নারীর সাজগোজের ব্যাপারও ছিল না। সেটা ছিল অস্কার পুরস্কার ঘোষণার দিন। ২০২২-এর অস্কার মঞ্চে উইল স্মিথের স্ত্রীকে নিয়েই রসিকতা করেছিলেন কৌতুকশিল্পী-সঞ্চালক ক্রিস রক। রাগ সামলাতে না পেরে ক্রিসকে সমস্ত দর্শকের সামনে চড় মেরেছিলেন স্মিথ।
পরে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেও জনরোষ থেকে রেহাই পাননি অভিনেতা। অ্যাকাডেমির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১০বছর অ্যাকাডেমিতে মনোনয়ন পাবেন না উইল স্মিথ। সেই ঘটনার পর দু’মাসের বেশি কেটে গিয়েছে। এত দিন পরে উইলের স্ত্রী পিঙ্কেট স্মিথ বলেন, ক্রিস আর উইল স্বচ্ছন্দে মিটমাট করে নিতে পারেন।
জাডা বলেন, “এটি অ্যালোপেশিয়ার উপরে সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ রেড টেবিল টক। আমার নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে আমি কী করেছি এবং অস্কারে কী ঘটেছে, তা বিবেচনা করে হাজারো দর্শক তাঁদের নিজেদের গল্প আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।’’
জাডার দাবি, অ্যালোপেশিয়ার যন্ত্রণা না জেনেই যখন মানুষ তা নিয়ে মজা করেন, সেটা কতটা খারাপ লাগে ভুক্তভোগীরাই জানেন। তবে সচেতনতারও কমতি আছে। সবাইকে খোলামেলা ভাবে এই রোগ নিয়ে জানানো উচিত।
অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে রাগের মাথায় স্মিথ যা করেছেন, তার পক্ষ নিচ্ছেন না জাডা। তাঁর মতে, হিংসা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে স্ত্রীর দাবি, স্মিথের রাগ হওয়ার কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
মডেল স্ত্রী বলেন, পরে ক্ষমা চেয়েছেন স্মিথ অনেক বার। কিন্তু অনেক দিন তো হল, এ বার মিটমাট করে নিতে পারেন ক্রিস আর স্মিথ। হলিউডের যে দু’জনকেই দরকার! তাই এমন রাগ পুষে না রাখা্ইই ভাল।
উইল স্মিথও বিচক্ষণতা দিয়েই বিষয়টা শেষ করুক।