ইরান তার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রর উন্নত সেন্ট্রিফিউজগুলোতে ইউরেনিয়াম গ্যাস ঢোকানো শুরু করেছে এবং ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো নজরদারির আইএইএ'র ক্যামেরাগুলো বিচ্ছিন্ন করেছে। অযৌক্তিক পশ্চিমা চাপ সামলাতে এই ব্যবস্থা তাদের।
মূলত ইরানের
বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র
বোর্ড অফ গভর্নর্সের বৈঠকে
আমেরিকা ও ইউরোপের তিন
দেশের উত্থাপিত প্রস্তাব পাস হওয়ার পর ইরান পাল্টা
পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
ইরানের
শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন। ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি গতরাতে ইরানের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, আইএইএ'র পক্ষ থেকে
ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনায় ১৭ থেকে ১৮টি
ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। আমরা বেশকিছু ক্যামেরা এরই মধ্যে খুলে ফেলেছি এবং আগামীকাল বাকিগুলো খুলে ফেলব।
আইএইএ’র বোর্ড অফ
গভর্নর্সের বৈঠকে পাস হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পরমাণু ক্ষেত্রে ইরান আইএইএ-কে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা
করছে না। প্রস্তাব পাসের পর ইরান কঠোর
জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল এবং তার অংশ হিসেবে তারা এসব ব্যবস্থা নিয়েছে।
পড়ুন: এলএনজি রপ্তানি কমিয়ে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
জনাব ইসলামি জানান, উন্নত সেন্ট্রিফিউজের গ্যাস ঢোকানো শুরুর পর আইএইএ'র পরিদর্শকরা এসেছেন এবং ইরানের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন। তার বক্তব্য, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে একে সুযোগ হিসেবে সুব্যবহার করা হবে।