আমরা একটি সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি-শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষা অন্তর্ভুক্তিমূলক হলে ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা আমরা সহজেই অর্জন করতে পারবো বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছেন। ছবি: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ঢাকা: বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন যে তারা একটি সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছেন। কারণ সামনে ২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে যা আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ১৭ টি অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার ০৪ নম্বরে অর্থাৎ কেন্দ্রে অবস্থান করছে শিক্ষা। সেই শিক্ষায় যদি দেশ মান অর্জন করতে পারে, শিক্ষাকে যদি জীবনব্যাপী করা হয় এবং সেই শিক্ষা যদি হয় অন্তর্ভুক্তিমূলক তাহলে বাকি যে ১৬ টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা সহজেই অর্জন করা যাবে।  

তিনি শনিবার, ১৪ জানুয়ারি,২০২৩ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ এবং একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।  

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বলতেন তাই করতেন তেমনি কন্যা শেখ হাসিনাও যা বলেন তাই করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গঠন করবেন বলেছিলেন এবং তিনি তা করেছেন। আজকে আমরা তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তাঁর নেতৃত্বে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবো। 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশকে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই স্বল্প সময়ে তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে সফল ভাবে  অবদান রেখেছেন। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের সূত্রপাতও হয়েছিলো শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়ন শুরু করেছেন গ্রাম থেকে। তিনি বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন এবং দেশের প্রত্যেকটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, ১০০ টির বেশি হাইটেক পার্ক স্থাপন করেছেন এবং দেশের প্রত্যেকটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। যার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন  নাগরিকও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। 

দীপু মনির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ থেকে ২০২২ সালে মাত্র ০১ বছরে গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্সে ১৪ ধাপ এগিয়েছে। উপাচার্য মনে করেন এটি একটি যুগান্তকারী অর্জন। 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। 

আরো পড়ুন: জাইকা ও সিটি ব্যাংক এন.এ.-এর সাথে ব্র্যাক ব্যাংক-এর ১০০ মিলিয়ন ডলারের গ্রিন ফাইন্যান্স চুক্তি

অনুষ্ঠানে নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উদয়ন স্কুল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form