গভর্নমেন্ট পেমেন্ট সলিউশন এবং কাগজবিহীন ট্রেড নিয়ে এইচএসবিসি'র কার্যক্রম

এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় অনলাইন গভর্নমেন্ট পেমেন্ট সলিউশন এবং কাগজবিহীন ট্রেড নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করলো এইচএসবিসি। এইচএসবিসি-নেট এবং এইচএসবিসি ট্রেড-এর নিরাপদ চ্যানেল এর মাধ্যমে গ্রাহকরা এখন তথ্য-নির্ভর সেবা পাবেন। ফলে স্মার্ট ট্রেড এখন তাদের হাতের নাগালে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআর-এর সাথে সমন্বিত উদ্যোগে অনলাইন গভর্নমেন্ট পেমেন্ট সলিউশন ও কাগজবিহীন-ট্রেড সুবিধা চালু করার মধ্য দিয়ে গ্রাহকদের জন্য নতুন সুযোগের এক দুয়ার উন্মোচন করলো দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ। পেমেন্ট ও ট্রেড, এই উভয় ক্ষেত্রেই ট্রানজ্যাকশন-ব্যাংকিং-কে ডিজিটাইজ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করেছে এইচএসবিসি। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী এইচএসবিসি-নেট ও বিভিন্ন টুলস্-এর সাহায্যে এখন ট্রানজ্যাকশন-ব্যাংকিং হবে রিয়েল-টাইম, আরও দ্রুত, সহজ ও স্মার্ট। বাংলাদেশ-এর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড-এর জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর-এর সহায়তায় এই অভাবনীয় যাত্রার সূচনার অংশীদার হতে পেরে এইচএসবিসি গর্বিত।  

এই বিশেষ অর্জনকে উদযাপন করতে “এইচএসবিসি ইনোভেশন ফোরাম: ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন ইন পেমেন্টস অ্যান্ড ট্রেড” শিরোনামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এইচএসবিসি। ১৭ই নভেম্বর ২০২২ তারিখে ঢাকা ওয়েস্টিন-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, কমিশনার, ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভিনিউ এবং রিয়াজ আহমেদ চৌধুরী, হেড অফ কর্পোরেট ব্যাংকিং, এইচএসবিসি বাংলাদেশ। এছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এইচএবিসি বাংলাদেশ-এর দেশি ও আন্তর্জাতিক সম্মানিত কর্পোরেট গ্রাহকবৃন্দ।

এইচএসবিসি বাংলাদেশ-এর হেড অফ কর্পোরেট ব্যাংকিং- রিয়াজ আহমেদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, “একটি শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে ডিজিটাল-ট্রান্সফর্মেশনকে আমরা অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে থাকি এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য অনলাইন গভর্নমেন্ট পেমেন্ট ব্যবস্থা এবং পেপারলেস-ট্রেড তারই উদাহরণ। এই সলিউশন-সমূহ শুধু আমাদের গ্রাহকদের নিভর্’লতা এবং আরও সময়ানুবর্তীতাই নিশ্চিত করে না, তাদের সাসটেইনেবিলিটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সহায়ক ভ’মিকা পালন করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য অর্জনে আমাদের গ্রাহকদের সেরা সলিউশন নিশ্চিত করতে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে একত্রে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।”       

বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর-এর সহায়তায় এই অনলাইন গভর্নমেন্ট পেমেন্ট সলিউশন-এর মাধ্যমে সহজেই ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর), উৎসে কর কর্তন (ভিডিএস), আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক এবং জরিমানা পরিশোধ করা যাবে। ইতিপূর্বে, পে-অর্ডারের মতো কাগজনির্ভর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি সংগ্রহ করা হতো গভর্নমেন্ট পেমেন্টগুলো, যে কারণে গ্রাহকদের বেশকিছু দিন অপেক্ষা করতে হতো।

অনলাইনভিত্তিক প্রক্রিয়ায় এখন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো এইচএসবিসিনেট এর মাধ্যমে সহজেই নিরাপদভাবে সরকারি পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) এর মাধ্যমে লেনদেনগুলো এখন প্রায় সাথে সাথেই সম্পন্ন হবে। এই অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ এবং এর সাহায্যে একই সময়ে একাধিক বিন (বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) যাচাই করা যায়। পেমেন্ট সফল হবার সাথে সাথে এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে চালান নং (রিসিট) পৌছে যাবে। চালানের অনুলিপি পরবর্তী কার্যদিবসে গ্রাহকের নিকট ইমেইল করা হয়।

এইচএসবিসি মনে করে তারা  গ্রাহকদের গুরুত্ব প্রদান করে এবং নিত্যনতুন সুবিধাজনক প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের সেরা সেবা প্রদানে সর্বদা সচেষ্ট থাকে।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এই প্রথম সফলভাবে কাগজবিহীন ট্রেড সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ২২ নভেম্বর ২০২২ থেকে প্রজ্ঞাপনটি কার্যকর হয়েছে এবং এর মাধ্যমে স্বাক্ষরকৃত লেটার অফ ক্রেডিট অথোরাইজেশন ফর্ম (এলসিএএফ) এর প্রয়োজনীয়তা দূর করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের আমদানি এখন আগের চেয়েও স্মার্ট, সহজ এবং সময়ানুবর্তী। 

HSBC


ছবি: এইচএসবিসি


Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form