ভোটের ৭ দিন আগে সেনা চান এমাজউদ্দীন
আসন্ন সিটি নির্বাচনের অন্তত এক সপ্তাহ আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ। প্রত্যেক ভোটার যাতে নিরাপদে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে পারে এবং সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্নের জন্যই তিনি এ দাবি জানান।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত ‘গুমখুন, অপহরণ ও গ্রেপ্তার আতঙ্কের মধ্যে সিটি করপোরেশ নির্বাচন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ দাবি জানান।
এক অস্বাভাবিক অবস্থায় সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে শত নাগরিকের আহ্বায়ক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সে লক্ষ্যে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের অন্তত এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়নের দায়িত্বও তাদের।’ সেনা মোতায়েন না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সিটি নির্বাচনকে বিএনপি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে উল্লেখ করে এমাজউদ্দীন বলেন, ‘সরকারকে শিক্ষা দেয়ার একটি মোক্ষম সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। আমরা এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আশা করছি, চ্যালেঞ্জে জয়ী হবো আমরাই।’
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে আপনাদের সক্ষমতা প্রমাণ করুন। নয়তো জাতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আপনাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।’
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতার সমতল ভূমি আশা করি না। তবে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে এবং প্রার্থীরা যাতে ঠিকমত প্রচারণা চালাতে পারে সে অবস্থা নিশ্চিত করুন।’
এসময় বিএনপির তরুণ কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র নিজের ভোট দেবার পর তোমরা জায়গা ছেড়ে দেবে না, ভোটকেন্দ্র ও ব্যালট বাক্স পাহাড়া দেয়ার দায়িত্বও তোমাদের। তোমার তোমাদের দায়িত্ব পালন করবে, বিজয় আমাদের নিশ্চিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দিতে বা মুক্তি দিতে বলবো না। কিন্তু একজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়ে আরো হাজার হাজার অখ্যাত-অগ্যাত নামা ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশ যে ব্যবসা করছে তা বন্ধ করতে হবে। আগামী ২৮ তারিখের নির্বাচনের আগে তাদের জামিন দিতে হবে, সবাই যাতে নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন কলঙ্কজনক নির্বচন নামে চিহ্নিত হয়ে আছে। তাই ২০১৪ সালে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তা যেনো আর না ঘটে।’
২০ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপিপন্থি এ বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে আমাদেরকে জানান। আমরা সারাদেশসহ গোটা বিশ্বকে তা জানাবো। আর এ জন্য আজ বিকেল থেকে আমরা একটা অফিস খুলছি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম হালিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমউল্লাহ, হাজী লিটন প্রমুখ।