অভিজিৎ হত্যায় মামলা করলেন বাবা অজয় রায়
লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা। শুক্রবার শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলায় সংখ্যা উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে অভিজিৎ ও তার স্ত্রী ডা. রাফিদা আফরিন বন্যা বাংলা একাডেমিতে একুশে বই মেলায় ঘুরতে আসেন। রাত সাড়ে সাড়ে নয়টার সময় তারা দুইজন টিএসসির সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ফুটপাত দিয়ে শাহবাগের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তাদেরকে হঠাৎ করেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আশেপাশের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা ভিড়ের মাঝে মিলিয়ে যায়। ঐ সময় আশেপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা অভিজিতকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়। আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর সাড়ে ১০ টার দিকে অভিজিৎ রায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
অভিজিৎ রায় একজন ব্লগার। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। ‘মুক্তমনা’ নামে একটি ব্লগের তিনি প্রতিষ্ঠাতা। ঐ ব্লগে সাম্প্রদায়িক ও উগ্র ধর্মীয় চেতনাবিরোধী লেখালেখি করতেন। তিনি স্ত্রীসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রকৌশলী ছিলেন। বুয়েট থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশুনা করে সেখানেই শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন অভিজিৎ। দুই মাস পর তিনি পিএইডি ডিগ্রীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। সেখানেই তিনি সপরিবারের ছিলেন। জানা গেছে, লেখালেখি নিয়ে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীরা। এবার একুশের বইমেলায় দুটি বই প্রকাশ হয়েছে অভিজিতের। এ কারণে তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি সপরিবারে দেশে ফেরেন।