পাকিস্তানের লক্ষ্যমাত্রা ৩০১ রান
বিশ্বকাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০০ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সামনে ৩০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। অনেকটা সাবধানী ব্যাটিং করার পরও দলীয় ৩৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন হয় তাদের। পাকিস্তানি পেসার সোহেল খানের বলে মিসবাহ-উল-হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। ২০ বলে ২টি চারের মারে ১৫ রান করেন ভা্রতের এই ওপেনার।
তবে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান অপর ওপেনার শেখর ধাওয়ান। ৫৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর ফিফটি আদায় করে নেন কোহলিও। ৬০ বলে ৫টি চারের মারে ৫০ রান করেন ভারতের এই পোস্টার বয়।
দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় ভারতের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ব্যক্তিগত ৭৩ রানের মাথায় রানআউটের শিকার হন ধাওয়ান। তার ইনিংসে ছিল ৭৬ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার। বিদায়ের আগে কোহলির সঙ্গে ১২৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ধাওয়ান।
১২০ বলে ৭টি চারের মারে শতরান পূর্ণ করেন কোহলি। আর ৪০ বলে ১টি চার ও ৩ টি ছক্কায় অর্ধশতক পূর্ণ করেন রায়না। এরপর ১০৭ রান করে সোহেল খানের শিকার হয়ে বিদায় নেন কোহলি।
কোহলির পর সাজঘরের পথ ধরেন সুরেশ রায়নাও। সোহেল খানের বলে আউট হওয়ার আগে ৫৬ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার মারে ৭৪ রান করেন রায়না। ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা (৩)।
এরপর শুরু সোহেল শো। পরপর দুই বলে একে একে তিনি বিদায় করেন ধোনি (১৮) ও রাহানেকে (০)।
উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বকাপে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। তার মধ্যে পাঁচবারই হেরেছে পাকিস্তান। এবার মিসবাহ-উল-হকের সামনে সুযোগ রয়েছে ইতিহাস বদলানোর। ধোনির সামনে সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপের পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের জয়ের যে রেকর্ড, সেটা অক্ষত রাখার। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি কে হাসে, সেটাই দেখার বিষয়।