অ্যাসাঞ্জের ওপর নজরাদিতে ব্যয় কোটি পাউন্ড
লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ওপর ২৪ ঘন্টা নজর রাখতে প্রায় দু’বছরে ব্রিটিশ সরকারের ব্যয় হয়েছে এক কোটি পাউন্ড ।
দুই নারীর যৌন হয়রানির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুইডেনে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হলে গ্রেপ্তার এড়াতে ২০১২ সালের জুনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। এরপর থেকেই তার ওপর নজর রাখছে ব্রিটিশ পুলিশ। দূতাবাস থেকে বের হলেই গ্রেপ্তার করা হবে তাকে।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, ২০১২ সালের জুন থেকে ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সরাসরি পুলিশের পেছনে খরচ হয়েছে ৭৩ লাখ পাউন্ড। আর ওভারটাইম হিসেবে খরচ হয়েছে ১৮ লাখ পাউন্ড।অক্টোবরের শেষ নাগাদ মোট খরচ ৯০ লাখ পাউন্ডে গিয়ে ঠেকেছে। বাকী তিন মাসে নজরদারির এই খরচ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য স্বাধীনতা আইনের আওতায় সংগৃহীত তথ্যের বরাত দিয়ে এলবিসি রেডিও জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জের ওপর নজরদারি করতে ব্রিটিশ পুলিশকে প্রতিদিন ১০ হাজার পাউন্ডের বেশি গুনতে হচ্ছে।
উইকিলিকসের এক মুখপাত্র পুলিশের এ ব্যয়কে ‘লজ্জাকর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
ব্রিটিশ ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, অ্যাসাঞ্জের সুইডেন গিয়ে ‘বিচারের মুখোমুখি’ হওয়া উচিৎ।
উল্লেখ্য, প্রায় কয়েক লাখ মার্কিন গোপন নথি ও তারবার্তা ফাঁস করে দিয়ে সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এরপর থেকেই তিনি মার্কিন নজরদারিতে পড়েছেন।