‘বগুড়ার উন্নয়নের রূপকার কোকো স্মরণীয় হয়ে থাকবেন’
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুতে শোকাহত বগুড়াবাসী। দলমত নির্বিশেষে সবাই তার অকাল মৃত্যুতে শোকাহত। সেই সঙ্গে বগুড়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তার অবদানে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মনে করেন তারা।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় বগুড়ার উন্নয়নের অন্যতম রূপকার ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। বড়ভাই তারেক রহমানের পাশে থেকে বগুড়াকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
বগুড়ার উন্নয়নের অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। ফলে দেশে-বিদেশে অনেকাংশেই বগুড়ার গুরুত্ব বেড়ে যায়।
সূত্র জানায়, আরাফাত রহমান কোকোর ঐকান্তিক ইচ্ছা আর প্রচেষ্টায় বগুড়ায় নির্মিত হয় আর্ন্তজাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তিনি বিসিবির উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়ায় শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম নির্মাণ করেন।
অন্যদিকে তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০০৪ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের খেলা অনুষ্ঠিত হয় বগুড়ায়। উত্তরবঙ্গে প্রথম ফোরস্টার হোটেল নির্মাণ হয় তারই সহযোগিতায়। এছাড়া জেলার অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও কোকোর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতা ছিল বলে জানান স্থানীয়রা।
আরাফাত রহমান কোকোর আন্তরিকতা ছাড়া বগুড়ার মত অবহেলিত জনপদে একটি আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম কখনোই কল্পনা করা যেত না বলেই মনে করে বগুড়ার মানুষ। তার অকাল মৃত্যুতে তাই দলমত নির্বিশেষে সবাই শোকাহত।
এদিকে কোকোর অকাল মৃত্যুতে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শনিবার মাগরিব নামাজের পর বগুড়ার সব মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৪ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় মারা যান বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হন আরাফাত রহমান কোকো। তবে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। কিন্তু এরপর দেশে না ফিরে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।
#