কিউজেড ৮৫০১: সাগরে ভাসছে দেহ, ধ্বংসাবশেষ
দুই দিন আগে নিখোঁজ হওয়া এয়ার এশিয়ার উড়োজাহাজের অনুসন্ধানে জাভা সাগরে লাগেজ ও দেহ ভাসতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্নিও উপকূলের অদূরে অন্তত ছয়টি দেহ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে কিছু ধ্বংসাবশেষ।
এগুলো যে নিখোঁজ ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ এরই ধ্বংসাবশেষ, ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান বাংবাং সোলিস্টিও তা নিশ্চিত করেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তবে এয়ার এশিয়ার বিমানটির কাঠামো এখনো উদ্ধারকারীরা খুঁজে পাননি। ওই বিমানের আরোহীদের কারো বেঁচে থাকার আশাও তারা আর করছেন না।
সাগরে ভাসমান দেহগুলোর ছবি টেলিভিশনে দেখানো হলে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়ায় একটি রেসকিউ সেন্টারে উপস্থিত স্বজনরা ডুকরে কেঁদে ওঠেন। কয়েকজন সংজ্ঞাও হারান।
তাদের সান্ত্বনা দিয়ে সুরাবায়ার মেয়র ত্রি রিশমাহারিনি বলেন, “আমাদের শক্ত হতে হবে। তারা আর এখন আমাদের নয়। তারা স্রষ্টার কাছে ফিরে গেছেন।”
এই সুরাবায়ার জুয়ানডা বিমানবন্দর থেকেই ১৬২ জন আরোহী নিয়ে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে স্থানীয় সময় রোববার সকালে নিখোঁজ হয় এয়ারবাস ৩২০-২০০ মডেলের বিমানটি। কোনো ধরনের সতর্ক সংকেত ছাড়াই জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সোমবার উদ্ধার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বাংবাং সোলিস্টিও বলেন, “আমাদের হাতে যে কো-অর্ডিনেটস আছে তাতে ধারণা হয়েছে জাভা সাগরের ওপর বিমানটি ছিল। (বিধ্বস্ত হয়ে থাকলে) এখন সেটি সাগরের তলদেশে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
মঙ্গলবার সাগরে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার পর বোর্নিও উপকূলের ওই এলাকায় একটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে, যাতে সমুদ্রের তলদেশে উড়োজাহাজটির খোঁজে অনুসন্ধান চালানো যায়।
এয়ার এশিয়ার প্রধান টনি ফার্নান্দেজ বলেছেন, উদ্ধার তৎপরতা দেখতে তিনি সুরাবায়া যাচ্ছেন।
এক টুইটে তিনি বলেন, “এয়ার এশিয়ার পক্ষে যা যা করা সম্ভব আমরা তার সবই করব।”