কিশোর হত্যা : “বন্দুকযুদ্ধে” হাজারীবাগ ছাত্রলীগ সভাপতি নিহত
মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় রাজা (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার প্রধান আসামি, হাজারীবাগ থানার ছাত্রলীগ সভাপতি আরজু মিয়া (২৮) র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত সোমবার রাতে আরজু মিয়া হাজারীবাগ এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। এ সময়ে আরজু মিয়া র্যাবকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে আরজু মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মাথায় তিন রাউন্ড, বুকে তিন রাউন্ড ও পিঠে এক রাউন্ড গুলি লাগে। নিহত আরজু মিয়া হাজারীবাগ থানার ৪৫/১/এ নম্বর বাড়ির মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
এদিকে মোবাইল চুরির অপরাধে রাজাকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় গত সোমবার রাতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত আরজু মিয়াকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে মনির, সাগর এবং সুজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার এজহারে এই তিনজনসহ আরো সাতজনের নাম রয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় রয়েছেন আরো কয়েকজন।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে মোবাইল চুরির অভিযোগে হাজারীবাগের ৪৬ গণকটুলী লেনের বাবুল হোসেনের ছেলে রাজাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার সহযোগীরা রাজাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনজনকে আটক করা হয়। নিহত রাজার নিকটাত্মীয় মামলাটি দায়ের করেছেন।