চাঁদপুরে যাত্রীবাহী এমভি তুতুল লঞ্চে ভয়াবহ আগুন
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর লগ্গিমারার চর এলাকায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী এমভি তুতুল লঞ্চে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে লঞ্চের ১৩ নং কেবিন সম্পূর্ণ ভস্মিভূতসহ ৫টি কেবিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নামতে গিয়ে আহত হন। এছাড়া অনেকেই চরে লাফিয়ে পড়েন।
ঘটনার আকস্মিকতায় অনেকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এতে নারীসহ ১০/১৫ জন যাত্রী আহত হন। অল্পের জন্য লঞ্চের ৩ শতাধিক যাত্রী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এদিকে অগ্নিকণ্ড দেখে লঞ্চের মাস্টার তাৎক্ষণিক লঞ্চটি চরের তীরে ভিড়িয়ে দেন এবং লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে সিলেন্ডার গ্যাস ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে পাশ দিয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি সোনার তরী ওই লঞ্চের পাশে গিয়ে তাদের লঞ্চ থেকে পাইপ দিয়ে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এসময় নদীর কাছেই থাকা পুলিশের টহল পুলিশ দল মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত লঞ্চে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কিভাবে হয়েছে তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেনি কোনো কর্তৃপক্ষই। ধারণা করা হচ্ছে ১৩ নং কেবিনে থাকা ৩ যুবক এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটায়।
এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুজ্জামান, পোর্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, নৌ-ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার আনোয়ারের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা, কোস্টগার্ড কমান্ডার লেফ. হাবিবুর রহমান, নৌ-পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন।
অপর একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি বোগদাদীয়া দিয়ে এমভি তুতুলের যাত্রীদের ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশ স্কট দিয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
এমভি তুতুলের মাস্টার শাহ্জাহান জানান, লঞ্চের ১৩ নং কেবিনে আগুন দেখে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে তিনি তাৎক্ষণিক লঞ্চটি চরে তুলে দেন। লঞ্চে তাদের মতে ১৫০ যাত্রী ছিল। এতে যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পান।
লঞ্চের আনসার কমান্ডার দিল মোহাম্মদ জানান, আগুনের খবর পেয়ে লঞ্চের আনসাররা আগুন নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করেন।