কারচুপি-ভাঙচুর আপনারা দেখান, সাংবাদিকদের সিইসি
ভোট কেন্দ্র ভাঙচুর, গোলাগুলি, কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও তা ‘দেখাতে’ বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের সাংবাদিকদের প্রতি এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে সিইসি হুট করেই সংবাদকর্মীদের কিছু না জানিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে বেরিয়ে যান।
এ সময় তার একান্ত সচিব একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘স্যার কোন কেন্দ্রে যাচ্ছেন, কিছু বলেননি।’
এ বিষয়ে ‘কিছু জানেন না’ বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামানও।
এরপর সিইসির গাড়ির পেছন পেছন ছুটেন সংবাদকর্মীরা। প্রথমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ পরিদর্শন করেন কাকলী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র।
সংবাদকর্মীরা সেখানে পৌঁছতে পৌঁছতেই তিনি চলে যান রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে।
এসময় সেখানে সংবাদকর্মীরা বিএনপির অভিযোগ ‘ভোট কারচুপি, কেন্দ্র ভাঙচুর ও গোলাগুলি’র বিষয়ে সিইসির মন্তব্য জানতে চান।
এ বিষয়ে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন,‘আপনারা দেখান।’
এরপরই ওই কেন্দ্র থেকে গাড়ি করে বেরিয়ে যোন তিনি।
কিন্তু সংবাদকর্মীরা তার গাড়ি দেখতে পাননি। পরবর্তী গন্তব্য জানতে আবারও সিইসি’র একান্ত সচিবের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তার একই উত্তর,‘কিছু জানিনা।’
এ অবস্থায় অন্য একটি গাড়িকে ফলো করতে করতে সংবাদকর্মীরা ভিকারুনন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছেন। ততক্ষণে সিইসি নির্বাচন কমিশনে ফিরে আসেন।
শুধু সংবাদকর্মীই নয়, বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও সিইসির গাড়ি থামিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে কেউ শেষ পর্যন্ত সিইসি-এর দেখা পাননি তারা।
এদিকে সকাল থেকেই নির্বাচন কমিশনে সংবাদকর্মীদের প্রবেশাধিকার ‘সীমিত’ করে দিয়েছেন ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম।
সকাল ১০টার পর থেকে হঠাৎ করেই সিইসি ও সচিবের দপ্তরে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ।
এদিকে দুপুরের দিকে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে তিন সিটি নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
এই অবস্থায় অনিয়মের বিষয়ে ইসি থেকে কোনো ব্যাখ্যা বা ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো খবর আসছে না।
সোমবার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। অথচ ভোটের আগের রাতেও কিছু কিছু কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।